Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

প্রশ্নোত্তর (শ্রাবণ-১৪২৫)

হাজেরা বেগম, গ্রাম: দক্ষিণ মামগ্রাম, উপজেলা: বাঘা,
জেলা: রাজশাহী
প্রশ্ন: চিচিঙ্গা গাছের পাতায় সাদা গুঁড়া গুঁড়া দেখা যাচ্ছে। এছাড়া পাতার দাগগুলো শুকিয়ে বাদামি হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় কি করণীয়?  

উত্তর: চিচিঙ্গা গাছের পাতায় এ ধরনের সমস্যাকে পাউডারি মিলডিউ নামক রোগ বলে। এতে গাছ বেশ দুর্বল হয়ে পড়ে। এমনকি ফলন কমে যায়। এজন্য প্রপিকোনাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক ০.৫ মিলি ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৭ থেকে ১০ দিন পর পর ২/৩ বার সঠিক নিয়মে স্প্রে করলে সুফল পাওয়া যাবে।   


মো. আলমগীর হোসেন, গ্রাম: চরকেশবপুর, উপজেলা: শিবচর, জেলা: মাদারীপুর
প্রশ্ন: মুখীকচুর পাতায় এক ধরনের দাগ পড়ছে। সব দাগ মিলে পাতা শুকিয়ে যাচ্ছে। কি করলে এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাব?

উত্তর: মুখীকচুর পাতায় এ ধরনের সমস্যা কে পাতার দাগ রোগ বলে। এ রোগ দমনের জন্য কার্বেনডাজিম গ্রুপের ১ গ্রাম ছত্রাকনাশক ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে সঠিক নিয়মে স্প্রে করলে এ সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। আর যে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে সেটি হলো রোগমুক্ত গাছ থেকে চারা সংগ্রহ করা। আশা করি এসব নিয়ম মেনে চললে ভবিষ্যতে আর এ ধরনের সমস্যা থাকবে না।

 

চন্দন রায় গ্রাম: লাউযুথি, উপজেলা: ঠাকুরগাঁও সদর, জেলা: ঠাকুরগাঁও
প্রশ্ন:  পেয়ারা ফল কাটলে পেয়ারার মাঝে কীড়া দেখা যায়। আক্রান্ত ফলও পচে যায়। কি করণীয়?

উত্তর: পেয়ারা ফলে ফলের মাছি পোকা আক্রমণ করলে এ ধরনের সমস্যা দেখা যায়। সেক্ষেত্রে পোকাযুক্ত ফলগুলো মাটিতে গভীর গর্ত করে পুঁতে ফেলতে হয়। এছাড়া বিষফাঁদ ব্যবহার করলেও উপকার পাওয়া যায়। এমনকি জৈব কীটনাশকও ব্যবহার করা যায়। গাছের গোড়া পরিষ্কার করে মাটি কুপিয়ে দিলেও সুফল পাওয়া যায়। আর যদি আক্রমণ বেশি হয়ে থাকে তবে ১ মিলি ইমিডাক্লোরপ্রিড গ্রুপের কীটনাশক ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে সঠিক নিয়মে ২/৩ বার স্প্রে করলে এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।

 

সুপর্ণা রায়, গ্রাম: মৌতলা, উপজেলা: কালিগঞ্জ, জেলা: সাতক্ষীরা
প্রশ্ন: লেবু গাছের ফল ঝরে যাচ্ছে। এর কারণ ও প্রতিকার কি?  

উত্তর: লেবু গাছের ফল ঝরে হরমোনের অভাব, রসের অভাব, ত্রুটিপূর্ণ সেচ, রোগ ও পোকার আক্রমণ, ঠা-া ও গরম আবহাওয়ার তারতম্য এবং সুষম সারে অভাব হলে। আর এসব সমস্যা দূর করতে হলে সঠিক মাত্রায় সুষম সার প্রয়োগের পাশাপাশি জিংক সার প্রয়োগ করা। এছাড়া গ্রোথ হরমোন ১ গ্রাম ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে ফুল আসার আগে ও ফল গুটি আকার ধারণ করার পর সঠিক নিয়মে স্প্রে করা। আর লেবু গাছের গেড়ায় যাতে কোনোভাবেই পানি না জমে সে ব্যবস্থা করা। আবার লেবু গাছের গোড়ায় যেন পানির অভাব না হয় সে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। এসব ব্যবস্থাপনা মেনে চললে আশা করি আপনার লেবু গাছের ফল ঝরে যাওয়ার সমস্যা দূর হবে। 

ফজলুর রহমান, গ্রাম: সরফরাজপুর, উপজেলা:  চৌগাছা, জেলা: যশোর
প্রশ্ন: পেঁপে ফলের পরিপক্বতা কিভাবে বুঝা যায় এবং পেঁপের ফল পাতলাকরণের পদ্ধতি কি?

উত্তর: পেঁপে যখন পুষ্ট বা পরিপক্ব হয় তখন ফলের গায়ে আঁচড় কাটলে সাদা কষ বের হয় সেটির ঘনত্ব পানির মতো হয় এবং রঙ এ বেশ স্বচ্ছতা দেখা যায়। অন্যদিকে অপরিপক্ব ফলের কষ বেশ আাঠালো, ঘন এবং দুধ সাদা রঙের হয়। আর পেঁপে ফল পাতলাকরণ করতে হলে এ কাজটি ফল আসার ২ মাসের মধ্যে করতে হয়। কা-ের প্রতি পর্বে ১-২টি ফল রেখে অন্য গুলো ধারালো চাকু দিয়ে অপসারণ করতে হয়। আর এসব পেঁপে সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। এ ফল পাতলাকরণ করলে বাকি পেঁপেগুলো আকারে বড় হয় ও বাজারমূল্যও বেশি পাওয়া যায়।  

 

রহিম শেখ, গ্রাম: কেরাদারি, উপজেলা: রাজারহাট, জেলা: কুড়িগ্রাম
প্রশ্ন: ঢেঁড়শ গাছের শিকড়ে প্রচুর গিট দেখা যাচ্ছে এবং গাছের পাতা ছোট আকারের হয়ে যাচ্ছে। এ সমস্যা কিভাবে সমাধান করব?

উত্তর: ঢেঁড়শ গাছের এ সমস্যাটি কৃমিজনিত রোগ। এ রোগ হলে গাছের পাতা ছোট ও শিকড়ে প্রচুর গিট দেখা যায়। এজন্য এ রোগ দেখা দিলে আক্রান্ত গাছ দেখলেই তা তুলে ধ্বংস করতে হবে। একই জমিতে বারবার চাষ না করা। জমি গভীরভাবে চাষ করা। শেষ চাষের সময় কার্বোফুরান জাতীয় দানাদার কীটনাশক জমিতে প্রয়োগ করা। এসব নিয়ম অনুসরণ করলে আপনার সমস্যার কাক্সিক্ষত সমাধান পাবেন।    


জাহিদ হাসান, গ্রাম: বিষকা, উপজেলা: তারাকান্দা, জেলা: ময়মনসিংহ
প্রশ্ন: মাছের শরীরে জোঁক দেখা যাচ্ছে। এ অবস্থায় কি করব?  

উত্তর: এ রোগের লক্ষণ ও কারণগুলো হলো- স্বল্প পিএইচ বা অম্ল পানিতে পুকুরের তলায় বিচরণকারী মাছ সমূহের গায়ে জোঁকের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। জোঁকগুলো মাছের ত্বক থেকে দেহের রস শোষণ করতে গিয়ে ক্ষতের সৃষ্টি করে যাতে পরবর্তীতে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। আর এ রোগের কারণ হলো হেমিক্লেপসিস মার্জিনেটা। এ রোগ প্রতিকারে যেসব করণীয় তা হলো- মাছের গা থেকে চিমটের সাহায্যে উকুন বেছে ফেলা, প্রতি শতক জলাশয়ে এক কেজি হারে চুন প্রয়োগ করা, পটাশিয়াম প্যারম্যাঙ্গানেট বিঘা প্রতি ২.৫ কেজি হারে জলে গুলে উকুন মাছের দেহ থেকে ছেড়ে যাবে। আর যদি অতিরিক্ত উকুন হলে হেক্টর প্রতি ৭৫ মিলি নুভান জলে গুলে দিলে মাছকে উকুনের হাত থেকে বাঁচানো যায়। নুভান একটি বিষ এজন্য নুভান ব্যবহারে সর্তক হতে হবে। এ কারণে প্রতি ৫ লিটার জলে ০.৫ মিলি নুভান গুলে আক্রান্ত মাছ ধরে নুনমিশ্রিত পানিতে ৫ মিনিট রেখে চিকিৎসা করা দরকার। এ নিয়ম মেনে কাজ করলে ঝুঁকি অনেক কমে যাবে।  


আলমগীর কবির, গ্রাম: হরিহরপুর, উপজেলা: ঠাকুরগাঁও, জেলা: ঠাকুরগাঁও
প্রশ্ন: মাছের কৃমি রোগ হয়েছে কি করব?

উত্তর: এ রোগ সাধারণত দুই প্রকার কৃমির আক্রমণে হয়ে থাকে। সেগুলো হলো গাইরোড্যাক্টাইলাস ও ড্যাক্টাইলোগাইরাস বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বর্ষায় এই দুই কৃমিতে চারা মাছ আক্রান্ত হয়ে থাকে। এরা ফুলকার সঙ্গে লেগে থাকে এবং রক্ত শোষণ করে। ফলে ফুলকা থেকে বেশি পরিমাণ শ্লেষ্মা ক্ষরিত হয়। মাছ নিস্তেজ হয়ে যায়। পরে মাছ মারা যায়। এই কৃমি মাছের চামড়ায়ও আক্রমণ করে। এ সমস্যার জন্য ২৫০ পিপিএম ফরমালিন দ্রবণে মাছকে গোসল করাতে হবে। এই পরজীবীগুলো সম্পূর্ণ অপসারণ সম্ভব না হলেও অনুকূল ব্যবস্থাপনায় পরজীবীর সংখ্যা কমিয়ে আনলে সাময়িক উপশম সম্ভব।   

 

হুমায়ন কবির, গ্রাম: বিরলি, উপজেলা: ফেনী সদর, জেলা:  ফেনী
প্রশ্ন: আমার ১০টি হাঁস আছে। এর মধ্যে কয়েকটা হাঁস পাতলা পায়খানা করছে, মুখ দিয়ে পানি ঝরছে। পালকগুলো এলেমেলো হয়ে এক জায়গায় বসে থাকছে। এমতাবস্থায় কি করণীয়?

উত্তর: হাঁসগুলোকে সিপ্রোফ্লক্সাসিন গ্রুপের ওষুধ সিপ্রো এ ভেট খাওয়াতে হবে। সাথে ইলেকট্রোমিন পাউডার খাওয়াতে হবে। আর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে হাঁসকে ফাউল কলেরার টিকা দিতে হবে। তবেই উপকার পাবেন।

 

নূরে আলম তালুকদার, গ্রাম: ব্রাহ্মণগাঁ, উপজেলা:  গৌরনদী, জেলা: বরিশাল
প্রশ্ন: আমার গরুর বয়স ২ বছর। গরুর নিচের মাড়ির হাড়ে ঘা হয়েছে এবং পুঁজ বের হচ্ছে। কিছু খাচ্ছে না। কি ব্যবস্থা নিলে প্রতিকার হবে, সমাধান চাই।

উত্তর:  গরুকে পেনিসিলিন গ্রুপের ইনজেকশন দিতে হবে, সাথে এন্টিহিস্টামিনিক ইনজেকশন দিতে হবে। এছাড়া কাঁটাযুক্ত ঘাস অথবা ঘাসের সাথে কোন ধাতব পদার্থ খাদ্য হিসেবে কখনো দেয়া যাবে না।  তাহলে আপনার গরুর সমস্যা দূর হবে।


কৃষির যে কোন প্রশ্নের উত্তর বা সমাধান পেতে বাংলাদেশের যে  কোন জায়গা থেকে যে কোনো মোবাইল থেকে কল করতে পারেন আমাদের কৃষি কল সেন্টারের ১৬১২৩ এ নাম্বারে। শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত যে কোনো দিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এ সময়ের মধ্যে। তাছাড়া কৃষিকথার গ্রাহক হতে বার্ষিক ডাক মাশুলসহ ৫০ টাকা মানি অর্ডারের মাধ্যমে পরিচালক, কৃষি তথ্য সার্ভিস, খামারবাড়ি, ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫ এ ঠিকানায় পাঠিয়ে ১ বছরের জন্য গ্রাহক হতে পারেন। প্রতি বাংলা মাসের প্রথম দিকে কৃষিকথা পৌঁছে যাবে আপনার ঠিকানায়।

 

কৃষিবিদ মো. তৌফিক আরেফীন

উপপ্রধান তথ্য অফিসার, কৃষি তথ্য সার্ভিস, খামারবাড়ি, ঢাকা-১২১৫, মোবাইল : ০১৭১১১১৬০৩২, ঃ taufiquedae25@gmail.com  


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon